তুমি এসে দেখে যাও তোমার জন্য হৃদয়ে ক্ষত হয়ে নেমে গেছে কতখানি পথ কত হাজার মাইল সমুদ্র পেরিয়ে মরুভূমি কত গহীন অরণ্য পাহাড় পর্বত এভারেস্ট কখনও অন্ধকার মহাদেশ তুমি জানো না কতটা কষ্টে কেঁদে উঠে মহাকাশ তুমি জানো না কতটা কষ্টে অগ্নিগিরিও ঘটায় বিস্ফোরণ তুমি দেখেছ কেবল সারি সারি ধোঁয়া দেখনি রক্তক্ষরণ কতটা ভাংচুর হলে বানানো যায় না মূর্তি কোটি কোটি কণা হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে মূর্তির উপকরণ তুমি কখনও জানবে না সমুদ্রের জলকণাও আমার কান্না প্রতিটি মরুভূমিও খণ্ড খণ্ড আমি অসীম উদারতায় দাঁড়িয়ে আছে কে?
যদি কবি হতে পারতাম উপমায় সাজিয়ে নিতাম নিজের জন্য এলিজি অথবা নিঃসঙ্গতার দীর্ঘ পটভূমি যদি ইঞ্জিনিয়ার হতাম নিঃসঙ্গ নামের শব্দটাকে নিমেষেই গুড়িয়ে দিতাম গড়ে নিতাম নতুন করে ঘুণে খাওয়া বিপন্ন প্রাচীন মনটাকে
হয়তো বাড়ির নেমপ্লেটে লেখা হতো
“আমি আর কবিতা লিখি না নই কোন কবি”
যদি ডাক্তার হতাম তোমার পুরনো স্মৃতিগুলো কুচি কুচি করে কেটে বসিয়ে দিতাম কোন শিশুর মস্তিস্ক স্মৃতিকাতরতা থাকতো না থাকতে শুধুই তুমি আমি কিছুই চাইনি চেয়েছিলাম তোমার দুটি নরম হাতের উষ্ণ ভালোবাসা রক্তগোলাপের ন্যায় অই দুটি ঠোঁট আমার প্রতিটি স্পর্শ তুমি ভেবেছিলে আমি কঠিন ইস্পাত প্রিয়তমা কষ্ট আছি নিঃসঙ্গতা আমার ফুঁসে উঠা সুনামি
প্রিয়তমা ফিরে এস বর্ণিল বসন্তে ফিরে এসো তুমি ফিরে এসো দাঁড়িয়ে থাকতে পারি হাজারও বসন্ত তোমার অপেক্ষায় ফিরে এসো তুমি ফিরে এসো হে প্রিয়তমা তোমার জন্য হাজার বছর পর অপেক্ষায় থাকব চির তরুণ হয়ে তোমার কথা ভেবেই হেঁটে হেঁটে পার করে দিব হাজার বছর আর কতটুকু পথ
জানি তখনও তুমি চির যৌবনা অনন্যা আর আমি? চির তরুণ অক্ষয় ফিরে এসো তুমি ফিরে এসো...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ
যদি কবি হতে পারতাম উপমায় সাজিয়ে নিতাম
নিজের জন্য এলিজি অথবা নিঃসঙ্গতার দীর্ঘ পটভূমি ---------- শেষ দিকে কবিতাটি এত ভাল হয়েছে যে, অনন্য উচ্চতায়
চলে গেছে !
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।